বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়া সড়কে কালাচাঁদ ঠাকুর বাড়ি যেতে চোখে পড়ে সুদৃশ্য এক তোড়ণ। তোড়ণের ওপর দুই পাশে দুটি সিংহ মুর্তি এবং মাঝখানেশঙ্খ। এখান থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা পথে পৌঁছা যায় মন্দিরে। মন্দির সংলগ্ন পুকুর, শিব মন্দির, কালাচাঁদ ঠাকুর মন্দির, ভোগ রান্না ঘর ও প্রসাদ বিতরণ কেন্দ্র, লাইব্রেরী, গোশালা-সবকিছুই সীমানার ভেতরে। ঠাকুরের মন্দিরের সামনে লেখা আছে :
অপুত্রক পুত্র পায় কালাচাঁদ বরে
নির্ধনের ধনদাতা অশেষ প্রকারে।
অন্ধজনে পায় চক্ষু সুখহীনে সুখ
অনাথেরে করে দয়া না করে বিমুখ।
সনাতনী অন্নপ্রাশন (শিশুর মুখে প্রথম ভাত তুলে দেয়া) তিথিতে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন এই মন্দিরে, আসেন পুত্রবতীরাও। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সকল ধর্মের মানুষ আসেন তীর্থস্থান দর্শনে। ভক্তরা মানত করে ঠাকুরের উদ্দেশ্যে পূজা দিয়ে মনষ্কামনা পূর্ণ করেন।
ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩’শ বছর পূর্বে চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ গ্রাম (বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত কুলগাঁও) ছিল ঝরঝড়িয়া বটতল নামে পরিচিত। এখন এটি চসিকের ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী সড়কের ডান পাশে অবস্থিত জে-বটতলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে রাস্তার বাম পাশে ছিল ঐতিহাসিক কালার দিঘী। স্থানীয় ভক্ত বৈষ্ণব কালাচাঁদ সেই দিঘীতেই পেয়েছিলেন আজকের আরাধ্য বিগ্রহ কালাচাঁদ ঠাকুরকে।
জঙ্গলাকীর্ণ ওই দিঘীতে পুরো গ্রাম এবং আশপাশের এলাকার অনেকে স্নান করতেন। তৎকালীন সময়ে ‘কালাজ্বর’ এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে মানত করে সেই দিঘীতে স্নান করলে অসুখ সেরে যেত বলে জনশ্র“তি রয়েছে। কেউ কেউ দূর-দূরান্ত থেকে এসে বোতলে ভরে নিয়ে যেত দিঘীর জল।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS